লিখেছেন মিলিন্দ তনচংগ্যা
Gender (liṅga in Pāḷi)is a technical term in the grammar. It is very important and complicatedin the case of Pāḷi and Sanskrit language if we never read many texts, which appear in different ways. However, it seems to be easy to decide the gender in English, Bengali, Burmese etc.language.
Most of you In English:
Masculine: Man,
Feminine: Woman, hen
Neuter: Table, Book
In Pāḷi:
Masculine: Manuso (Man), Go (Ox)
Feminine: Nadī (River), Ratti (Night)
Nueter: Cittaṃ (Mind), Phalaṃ (Fruit)
How about in Tanchangya language,what sort of rule should we follow?
It is a suffix for the noun such as Person, man etc. For example – Manuit ek jawn, a person, man etc.
One thing for saying animal, round thing, container such as bottle, shirt, umbrella, for plastic bag, mate, book, pen, mountain, pillow, torch light, cloud (by adding caga (lump of cloud)), man, woman etc, Pagoda, marble, head, dead body.
For eg. Mawa ek-khawa (a dead body)
For long thing such as fan, one word of speech, piece of paper, table, chair, river, spoon, blanket , Airplane, bus, wire, monastery, catapult scale,
Rawt tinnan (three airplanes)
For saying type of curry,
Sawn tin pawt (three kinds of curry)
Group such as one group one child, thief.
Su ekdawl (a gang of robber)
For group such as a herd of cattle, elephant, school of fish, cow, goat,
For eg. Guru ek-pal (a herd of cattle).
All the readers are warmly welcomed whatever constructed suggestion do have you, for the improvement of the above grammatical rule in Tanchangya Language.
তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ব্যাকরণ : ক্রিয়ার কাল
ভবিষ্যত কাল
লিখেছেন বাবু চন্দ্র সেন তঞ্চঙ্গ্যা
পূর্বালোচনার পর…
9. সাধারণ ভবিষ্যত কাল
যে ক্রিয়া ভবিষ্যতে সাধারণভাবে সংঘটিত হবে, তাকে সাধারণ ভবিষ্যত কাল বলা হয়। যেমন-
তারায় আইচ্ছ্যা আবাক। [তারা আজ আসবে।]
তুই কি খাবে?[তুমি কি খাবে?]
তে ন যাবদে নে?[সে কি যাবে না?]
সাধারণ ভবিষ্যতকালের ক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন ক্রিয়া বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ
উত্তম পুরুষ একবচন ইন খাইন, পুড়িন, কোইন
বহুবচন বং/ইবং খাবং, পুড়িবং, কুবং
মধ্যম পুরুষ একবচন বে/ইবে খাবে, পুড়িবে, কুবে
বহুবচন বা/ইবা খাবা, পুড়িবা, কুবা
নাম পুরুষ একবচন ব/ইব খাব, পুড়িব, কুব
বহুবচন বাক/ইবাক খাবাক, পুড়িবাক, কুবাক
সাধারণ ভবিষ্যত কালের বাক্যগঠনের নিয়ম :
সাধারণ ভবিষ্যতকাল ও সাধারণ বর্তমান কালের বাক্য গঠনের নিয়ম অভিন্ন।অর্থাৎ, বাক্যের শুরুতে কর্তাবসে, এরপর কর্ম ও শেষে ক্রিয়া বসে বাক্য গঠিত হয়।
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ক্রিয়া : মুই ভাত খাইন। তুই জুমত যাবে। তুমি খিসি কাম গুরিবা।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + ক্রিয়া : মুই ভাত ন খাইন। তুই জুমত ন যাবে। তুমি খিসি কাম ন গুরিবা।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খাইন? তুই কি জুমত যাবে?
২। কর্তা + কর্ম+ ক্রিয়া + নি? : মুই ভাত খাইন নি? তুই জুমত যাবে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খাইন? তুই কি জুমত ন যাইদে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + ক্রিয়া+দে/গে + নে? : মুই ভাত ন খাইন্দে নে? তুই জুমত ন যাবেদে নে?
10. ঘটমান ভবিষ্যতকাল
যে ক্রিয়ার কাজ ভবিষ্যতে শুরু হয়ে চলতে থাকবে, তার কালকে ঘটমান ভবিষ্যত কাল বলে। যেমন-
মুই ভাত খানাত থাইন। [আমি ভাত খেতে থাকব]
তুই জুমত যানাত থাবে। [তুমি জুমে যেতে থাকবে]
তারায় ইস্কুলত যানাত থাবাক। [তারা স্কুলে যেতে থাকবে]
স্মরণীয় যে, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ব্যাকরণে ঘটমান অতীত ও ঘটমান ভবিষ্যত কালের বাক্য গঠনরীতির মধ্যে গভীর সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘটমান ভবিষ্যতকালের ক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন মূলক্রিয়ার বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ সমাপিকা ক্রিয়া
উত্তম পুরুষ একবচন থাইন
বহুবচন আনাত খানাত, পড়ানাত, কয়ানাত/কনাত থাবং
মধ্যম পুরুষ একবচন থাবে
বহুবচন থাবা
নাম পুরুষ একবচন থাব
বহুবচন থাবাক
ঘটমান ভবিষ্যতকালের বাক্যগঠনের নিয়ম :
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া : মুই ভাত খানাত থাইন। তুই জুমত যানাত থাবে। তারায় ইস্কুলত যানাত থাবাক।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া : মুইভাত ন খানাত থাইন। তুই জুমত ন যানাত থাবে। তারায় ইস্কুলত ন যানাত থাবাক।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খানাত থাইন? তুই কি জুমত যানাত থাবে?
২। কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া + নি?: মুই ভাত খানাত থাইন নি? তুই জুমত যানাত থাবে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খানাত থাইন? তুই কি জুমত ন যানাত থাবে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া+দে + নে? : মুই ভাত ন খানাত থাইন্দে নে? তুই জুমত ন যানাত থাবেদে নে?
11. পুরাঘটিত ভবিষ্যতকাল
যে ক্রিয়ার কাজ ভবিষ্যতে শুরু হয়ে শেষ হয়ে যাবে বোঝায়, তাকে পুরাঘটিত ভবিষ্যতকাল বলে। যেমন-
মুই ভাত খায় থাইন।[আমি ভাত খেয়ে থাকব]
তুই জুমত যায় থাইন। [তুমি জুমে গিয়ে থাকব]
তারায় ইস্কুলত যায় থাবাক। [তারা স্কুলে গিয়ে থাকবে]
পুরাঘটিত ভবিষ্যতকালের ক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন মূলক্রিয়ার বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ সমাপিকা ক্রিয়া
উত্তম পুরুষ একবচন ই/য় খায়, যায়, পুড়ি, থাইন
বহুবচন থাবং
মধ্যম পুরুষ একবচন থাবে
বহুবচন থাবা
নাম পুরুষ একবচন থাব
বহুবচন থাবাক
পুরাঘটিত ভবিষ্যতকালের বাক্যগঠনের নিয়ম :
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া : মুই ভাত খায় থাইন। তুই জুমত যায় থাবে। তারায় ইস্কুলত যায় থাবাক।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া : মুইভাত ন খায় থাইন। তুই জুমত ন যায় থাবে। তারায় ইস্কুলত ন যায় থাবাক।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খায় থাইন? তুই কি জুমত যায় থাবে?
২। কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া + নি? :মুই ভাত খায় থাইন নি? তুই জুমত যায় থাবে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খায় থাইন? তুই কি জুমত ন যায় থাবে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া+দে + নে? : মুই ভাত ন খায় থাইন্দে নে? তুই জুমত ন যায় থাবেদে নে?
তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ব্যাকরণ : ক্রিয়ার কাল
অতীতকাল
লিখেছেন বাবু চন্দ্র সেন তঞ্চঙ্গ্যা
5. সাধারণ অতীতকাল
যে ক্রিয়ার কাল অতীতে সাধারণভাবে সংঘটিত হয়েছে তাকে সাধারণ অতীতকাল বলে। যেমন-
মুই ভাত খালুং। [আমি ভাত খেলাম]
তুই জুমত গেলে। [তুমি জুমে গেলে]
তারায় ইস্কুলত গেলাক। [তারা স্কুলে গেল]
সাধারণ অতীতকালের ক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন ক্রিয়া বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ
উত্তম পুরুষ একবচন লুং/ইলুং খালুং, পুড়িলুং, কুলুং
বহুবচন লং/ইলং খালং, পুড়িলং, কুলং
মধ্যম পুরুষ একচন লে/ইলে খালে, পুড়িলে, কুলে
বহুবচন লা/ইলা খালা, পুড়িলা, কুলা
নাম পুরুষ একবচন ল/ইল খাল, পুড়িল, কুল
বহুচন লাক/ইলাক খালাক, পুড়িলাক, কুলাক
সাধারণ অতীতকালের বাক্য গঠনেরনিয়ম :
সাধারণ অতীতকালের বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ বর্তমান কালের ঐ একই নিয়ম এখানেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ,
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ক্রিয়া : মুই ভাত খালুং। তুই জুমত গেলে। তারায় ইস্কুলত গেলাক।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + ক্রিয়া : মুই ভাত ন খালুং। তুই জুমত ন গেলে। তারায় ইস্কুলত ন গেলাক।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে–
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খালুং? তুই কি জুমত গেলে?
২। কর্তা + কর্ম+ ক্রিয়া + নি? : মুই ভাত খালুং নি? তুই জুমত গেলে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খালুং? তুই কি জুমত ন গেলে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + ক্রিয়া+গে/দে + নে? : মুই ভাত ন খালুংগে নে? তুই জুমত ন গেলেদে নে?
6. ঘটমান অতীতকাল
যে ক্রিয়া অতীতকালে চলেছিল, তখনো শেষ হয় নি বোঝায়, তাকে ঘটমান অতীতকাল বলে। যেমন-
মুই ভাত খানাত আছিলুং/আলুং। [আমি ভাত খেতেছিলাম]
তুই জুমত যানাত আছিলে/আলে। [তুমি জুমে যাচ্ছিলে।]
তারায় ইস্কুলত যানাত আছিলাক/আলাক। [তারা স্কুলে যাচ্ছিল]
এখানে, লক্ষ্যণীয় যে, বাংলা ভাষায় ঘটমান অতীতকাল একটি মাত্র ক্রিয়া দ্বারা সম্পাদিত হলেও তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় মূলক্রিয়া কিন্তু অসমাপিকা ক্রিয়া। এক্ষেত্রে মূল কৃৎধাতুর সাথে ‘আনাত’ বিভক্তিযোগ করে প্রথমে মূলক্রিয়াকে অসাপিকা ক্রিয়াপদে রূপান্তর করতে হয়। অতপর নিম্নোক্ত তালিকা অনুযায়ী সমাপিকা ক্রিয়াপদ বসাতে হয়।
ঘটমান অতীতকালের ক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন মূলক্রিয়ার বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ সমাপিকা ক্রিয়া
উত্তম পুরুষ একবচন আনাত খানাত, পড়ানাত, কয়ানাত/কনাত আছিলুং/আলুং
বহুবচন আছিলং/আলং
মধ্যম পুরুষ একবচন আছিলে /আলে
বহুবচন আছিলা/আলা
নাম পুরুষ একবচন আছিল/আল
বহুচন আছিলাক/আলাক
ঘটমান অতীতকালের বাক্য গঠনের নিয়ম :
পূর্বোক্ত সকল ক্রিয়ার কালের সাথে ঘটমান অতীতকালের বাক্য গঠন প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভিন্নটা আছে। এই ভিন্নতা হলো অসমাপিকা ক্রিয়ার উপস্থিতি।অর্থাৎ,
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া : মুই ভাত খানাত আলুং। তুই জুমত যানাত আলে। তারায় ইস্কুলত যানাত আলাক।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া : মুইভাত ন খানাত আলুং। তুই জুমত ন যানাত আলে। তারায় ইস্কুলত ন যানাত আলাক।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খানাত আলুং? তুই কি জুমত যানাত আলে?
২। কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া + নি?: মুই ভাত খানাত আলুং নি? তুই জুমত যানাত আলে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খানাত আলুং? তুই কি জুমত ন যানাত আলে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+আনাত + সমাপিকা ক্রিয়া+গে/দে + নে? : মুই ভাত ন খানাত আলুংগে নে? তুই জুমত ন যানাত আলেদে নে?
7. পুরাঘটিত অতীতকাল
যে ক্রিয়া অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে তাকে পুরাঘটিত অতীতকাল বলে। যেমন-
মুই ভাত খায় আছিলুং/আলুং।[আমি ভাত খেয়েছিলাম]
তুই জুমত যায় আছিলে/আলে। [তুমি জুমে গিয়েছিলে]
তারায় ইস্কুলত যায় আছিলাক/আলাক। [তারা স্কুলে গিয়েছিল]
ঘটমান অতীতকালও পুরাঘটিত অতীতকালের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। আর তা হচ্ছে সমাপিকা মূলক্রিয়া। শুধুমাত্রমূল ক্রিয়াপদের কৃৎধাতুর সাথে ‘ই/য়’ বিভক্তি যোগ করে ঘটমান অতীতকালকে পুরাঘটিত অতীতকালেরূ পান্তরিত করা যায়।
পুরাঘটিত অতীতকালের ক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন মূলক্রিয়ার বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ সমাপিকা ক্রিয়া
উত্তম পুরুষ একবচন ই/য় খায়, যায়, পুড়ি, আছিলুং/আলুং
বহুবচন আছিলং/আলং
মধ্যম পুরুষ একবচন আছিলে /আলে
বহুবচন আছিলা/আলা
নাম পুরুষ একবচন আছিল/আল
বহুবচন আছিলাক/আলাক
ঘটমান অতীতকালের বাক্য গঠনেরনিয়ম :
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া : মুই ভাত খায় আলুং। তুই জুমত যায় আলে। তারায় ইস্কুলত যায় আলাক।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া : মুই ভাত ন খায় আলুং। তুই জুমত ন যায় আলে। তারায় ইস্কুলত ন যায় আলাক।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খায় আলুং? তুই কি জুমত যায় আলে?
২। কর্তা + কর্ম+ মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া + নি? :মুই ভাত খায় আলুং নি? তুই জুমত যায় আলে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খায় আলুং? তুই কি জুমত ন যায় আলে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + মূলক্রিয়া+ই/য় + সমাপিকা ক্রিয়া+গে/দে + নে? : মুই ভাত ন খায় আলুংগে নে? তুই জুমত ন যায় আলেদে নে?
8. নিত্যবৃত্ত অতীতকাল
নিত্যবৃত্ত অতীতকাল বলতে ক্রিয়ার সেই সময়কে বুঝায় যা অতীতে প্রায়ই ঘটত। যেমন-
আমি পুত্তিদিন জুমত যাইদং। [আমরা প্রতিদিন জুমে যেতাম।]
তুমি বিষু পরক্ক্যা পাইচন রাইন্দা। [তোমরা বিষু উৎসবে পাজন রাঁধতে।]
তুই ভারি দোলগান গাইদে। [তুমি খুব ভাল গান গাইতে।]
নিত্যবৃত্ত অতীতকালেরক্রিয়ার বিভক্তিসমুহ নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন ক্রিয়া বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ
উত্তম পুরুষ একবচন ইদুং খাইদুং, পুড়িদুং, কুইদুং
বহুবচন ইদং খাইদং, পুড়িদং, কুইদং
মধ্যম পুরুষ একবচন ইদে খাইদে, পুড়িদে, কুইদে
বহুবচন ইদা খাইদা, পুড়িদা, কুইদা
নাম পুরুষ একবচন ইদ খাইদ, পুড়িদ, কুইদ
বহুবচন ইদাক খাইদাক, পুড়িদাক, কুইদাক
নিত্যবৃত্ত অতীতকালের বাক্যগঠনের নিয়ম :
সাধারণ অতীতকালের বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ বর্তমান কালের ঐ একই নিয়ম এখানেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ,
অস্তিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ক্রিয়া : মুই ভাত খাইদং। তুই জুমত যাইদে। তুমি খিসি কাম গুরিদা।
নেতিবাচকবাক্যের ক্ষেত্রে-
কর্তা + কর্ম+ ন + ক্রিয়া : মুই ভাত ন খাইদুং। তুই জুমত ন যাইদে। তুমি খিসি কাম ন গুরিদা।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ক্রিয়া? : মুই কি ভাত খাইদং? তুই কি জুমত যাইদে?
২। কর্তা + কর্ম+ ক্রিয়া + নি? : মুই ভাত খাইদং নি? তুই জুমত যাইদে নি?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্যের বেলায়-
১। কর্তা + কি+ কর্ম + ন + ক্রিয়া? : মুই কি ভাত ন খাইদং? তুই কি জুমত ন যাইদে?
২। কর্তা + কর্ম+ ন + ক্রিয়া + নে? : মুই ভাত ন খাইদুং নে? তুই জুমত ন যাইদং নে?
ক্রিয়ার কাল (Tense)
লিখেছেন বাবু চন্দ্র সেন তঞ্চঙ্গ্যা
ক্রিয়ার কাল : ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময়কে ক্রিয়ার কালবলা হয়। একে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বর্তমান কাল, অতীতকাল ও ভবিষ্যত কাল।
আবার ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময় অনুসারে এই তিনকালের প্রত্যেকটিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়। অনেকের মনে হতে পারে যে, ইংরেজি Tense এর মত তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ক্রিয়ার কালকে ভাগ করা হয়েছে। ঠিক তা নয়। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা ও বাংলা ভাষার উৎস সম্ভবত এক এবং অভিন্ন। এ কারণে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ব্যাকরণ ও বাংলা ভাষার ব্যাকরণের মধ্যে এক গভীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই ক্রিয়ার কাল শ্রেণিবিভাজনের সময়ও সেই মিল বজায় রয়েছে। অর্থাৎ, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ক্রিয়ার কালের শ্রেণিবিভাজনও ঠিক বাংলা ভাষার অনুরূপ। নিচে তা তুলে ধরা হলো।
বর্তমান কাল (present tense) :
১. সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল
২. ঘটমান বর্তমানকাল
৩. পুরাঘটিত বর্তমানকাল
৪. বর্তমান অনুজ্ঞা।
অতীতকাল (past tense) :
৫. সাধারণ অতীতকাল
৬. ঘটমান অতীতকাল
৭. পুরাঘটিত অতীতকাল
৮. নিত্যবৃত্ত অতীতকাল।
ভবিষ্যতকাল (future tense):
৯. সাধারণ ভবিষ্যতকাল
১০. ঘটমান ভবিষ্যতকাল
১১. পুরাঘটিত ভবিষ্যত কাল
১২. ভবিষ্যত অনুজ্ঞা।
নিচে এই বার প্রকারক্রিয়ার কাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল
বর্তমান সময়ে কোন কাজ সাধারণ ভাবে বা প্রত্যহ সংঘটিত হলে, তাকে সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমানকাল বলে। যেমন-
মুই ভাত খাং। [আমি ভাত খাই]
তুই জুমত যাইত। [তুমি জুমে যাও]
তারায় ইস্কুলত যান। [তারা স্কুলে যায়]
এখানে, খাং, যাইতও যান হলো তঞ্চঙ্গ্যা ক্রিয়াপদ। এই ক্রিয়াপদ গুলোকে বিভক্ত করলে পাওয়া যায় :
_/খা + অং = খাং
_/যা + ইত = যাইত
_/যা + অন = যান
অর্থাৎ প্রত্যেকটিক্রিয়াপদ দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে গঠিত। একটি কৃৎধাতু এবং অপরটি বিভক্তি। এখানে, _/খা ও _/যা হলো কৃৎধাতু এবং অং, ইত, অন হলো বিভক্তি।
সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কালের ক্রিয়া বিভক্তিসমুহের একটি সারণী নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন ক্রিয়া বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ
উত্তম পুরুষ একবচন অং খাং, পড়ং, কহ্অং
বহুবচন ই খেই, পুড়ি, কোই
মধ্যম পুরুষ একবচন ইত খাইত, পুড়িত, কোইত
বহুবচন ইয়/য়্য খায়্য, পুড়িয়্য/পুজ্য, কুয়্য
নাম পুরুষ একবচন য়, এ খায়, পড়ে, কহ্য়
বহুচন অন খান, পড়ন, কহ্ন
সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত বর্তমানকালের বাক্য গঠনের নিয়ম :
অস্তিবাচকবাক্য গঠনের নিয়ম : তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার অস্তিবাচক বাক্য গঠনের নিয়মটা ঠিক বাংলা ব্যাকরণের মতই। অর্থাৎ প্রথমে কর্তা, এরপর কর্ম এবং সবশেষে ক্রিয়া বসাতে হয়। নিচের সারণীতে লক্ষ্য করুন।
কর্তা + কর্ম + ক্রিয়া
মুই ভাত খাং।
তুই জুমত যাইত।
তারায় ইস্কুলত যান।
নেতিবাচক বাক্য গঠনের নিয়ম : নেতিবাচক বাক্য গঠনেরক্ষেত্রে অস্তিবাচক বাক্যের কর্ম ও ক্রিয়ার মধ্যস্থানে না-বোধক পদ ‘ন’ (=না) বসাতে হয়। নিচের সারণীতে দৃষ্টিপাত করলে তা সহজে অনুধাবন করতে পারবেন।
কর্তা + কর্ম + ন + ক্রিয়া
মুই ভাত ন খাং।
তুই জুমত ন যাইত।
তারায় ইস্কুলত ন যান।
অস্তি-প্রশ্নবোধক বাক্য গঠনের নিয়ম : তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় অস্তি-প্রশ্নবোধক বাক্য দুই ভাগে গঠন করা যায়।
(১ কর্তা ও কর্মের মধ্যস্থানে ‘কি’ পদ প্রয়োগ করে। যেমন- মুই কি ভাত খাং? তুই কি জুমত যাইত? তারায় কি ইস্কুলত যান?
(২ অস্তিবাচক বাক্যের ক্রিয়ার শেষে ‘নি’ (নি = কি ) পদ প্রয়োগ করে। যেমন- মুই ভাত খাং নি? তুই জুমত যাইত নি?তারায় ইস্কুলত যান নি?
এছাড়াও অস্তিবাচক বাক্যকে বলার ধরণ পরিবর্তন করেও প্রশ্নবোধক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন- মুই ভাত খাং? তুই জুমত যাইত? তারায় ইস্কুলত যান?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্য গঠনের নিয়ম : তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় নেতি-প্রশ্নবোধক বাক্য নিম্নরূপ বিধি মোতাবেক গঠন করা যায়-
(১ নেতিবাচক বাক্যের কর্তা ও কর্মের মাঝে ‘কি’ পদ বসিয়ে।
যেমন- মুই কি ভাত ন খাং? তুই কি জুমত ন যাইত? তারায় কি ইস্কুলত ন যান?
(২ নেতিবাচক বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে অতিরিক্ত গে/তে/দে প্রত্যয় যোগ করার পর প্রশ্নবোধক ‘নে’ ( নে = কি পদ প্রয়োগ করে।
যেমন- মুই ভাত ন খাংগে নে? তুই জুমত ন যাইত্তে নে? তারায় ইস্কুলত ন যান্দে নে?
তাছাড়া নেতিবাচক বাক্যকে বলার ধরণ পরিবর্তন করেও প্রশ্নবোধক বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
যেমন- মুই ভাত ন খাং? তুই জুমত ন যাইত? তারায় ইস্কুলত ন যান?
2. ঘটমান বর্তমান কাল
যে ক্রিয়ার কাজ বর্তমানে ঘটছে বা চলছে এবং যা এখনো শেষ হয়নি, তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে। যেমন-
আমি বাচরত যের।[আমরা বাজারে যা্চ্ছি]
তুই ভাত রানর।[তুমি ভাত রাঁধছো]
তারায় ইন্দি আইত্তন।[তারা এদিকে আসছে]
ঘটমান বর্তমানকালের ক্রিয়া বিভক্তিসমুহের একটি সারণী নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন ক্রিয়া বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ
উত্তম পুরুষ একবচন অঙর খাঙর, পড়ঙর, কহ্ঙর
বহুবচন ইর খের, পুড়ির, কোইর
মধ্যম পুরুষ একবচন অর খঅর, পড়র, কহ্অর
বহুবচন অর খঅর, পড়র, কহ্অর
নাম পুরুষ একবচন র/এর খার, পড়ের, কহ্র
বহুবচন ইদন খাইদন, পুড়িদন, কুইদন
সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত বর্তমানকালের বাক্য গঠনের নিয়ম :
অস্তিবাচক ও নেতিবাচক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ বর্তমান কালের অস্তিবাচক ও নেতিবাচক বাক্য গঠনের নিয়ম প্রযোজ্য। অর্থাৎ,
অস্তিবাচক : কর্তা+ কর্ম + ক্রিয়া। যেমন- মুই ভাত খাঙর। তারায় কধা কুইদন।
নেতিবাচক : কর্তা+ কর্ম + ন + ক্রিয়া। যেমন- মুই ভাত ন খাঙর। তারায় কধা ন কুইদন।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য : (১ এই জাতীয় বাক্য গঠনের বেলায়ও অস্তিবাচক বাক্যের কর্তা ও কর্মের মাঝে ‘কি’ পদটি বসাতে হয়।
অর্থাৎ, কর্তা+ কি + কর্ম + ক্রিয়া। যেমন-
মুই কি ভাত খাঙর? তারায় কি কধা কুইদন?
(২ অস্তিবাচক বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে অতিরিক্ত ‘তে/দে’ প্রত্যয় যোগ করার পর প্রশ্নবোধক ‘নে’ পদটি বসাতে হয়।
অর্থাৎ, কর্তা + কর্ম + (ক্রিয়া+তে/দে + নে? যেমন-
মুই ভাত খাঙত্তে নে? তারায় কধা কুইদন্দে নে?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্য : (১ নেতিবাচক বাক্যের কর্তার পর ‘কি’ পদটি বসিয়ে। যেমন-
মুই কি ভাত ন খাঙর? তারায় কি কধা ন কুইদন?
(২ নেতিবাচক বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক ‘নে’ পদ বসিয়ে। যেমন-
মুই ভাত ন খাঙত্তে নে? তারায় কধা ন কুইদন্দে নে?
3. পুরাঘটিত বর্তমান কাল
যে ক্রিয়ার কাজ কিছু আগে শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল এখনো বর্তমান, তাকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলে। যেমন-
আমি বাচরত গিয়্যি। [আমরা বাজারে গেছি]
তুই ভাত রান্যে। [তুমি ভাত রেঁধেছে]
তারায় ইন্দি আইচ্ছ্যন। [তারা এদিকে এসেছে]
পুরাঘটিত বর্তমানকালের ক্রিয়া বিভক্তিসমুহের একটি সারণী নিচে প্রদত্ত হলো।
পুরুষ বচন ক্রিয়া বিভক্তি গঠিত ক্রিয়াপদ
উত্তম পুরুষ একবচন ইয়ং/য়্যং খায়্যং, পুজ্যং, কুয়্যং
বহুবচন ইয়ি/য়্যি খায়্যি, পুজ্যি, কুয়্যি
মধ্যম পুরুষ একবচন য়্যইত খায়্যইত, পুজ্যইত, কুয়্যইত
বহুবচন য়্য খায়্য, পুজ্য, কুয়্য
নাম পুরুষ একবচন য়্যে খায়্যে, পুজ্যে, কুয়্যে
বহুবচন য়্যন খায়্যন, পুজ্যন, কুয়্যন
পুরাঘটিত বর্তমান কালের বাক্যগঠনের নিয়ম :
অস্তিবাচকবাক্য : অস্তিবাচক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ বর্তমান কালের অস্তিবাচক বাক্য গঠনের নিয়ম এথানেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ, অস্তিবাচক : কর্তা+ কর্ম + ক্রিয়া।
যেমন- মুই ভাত খায়্যং। তারায় কধা কুয়্যন।
নেতিবাচকবাক্য : নেতিবাচক বাক্য গঠনের বেলায় সাধারণ বর্তমান কালের নেতিবাচক বাক্য গঠনরীতি এখানে প্রযোজ্য হলেও ‘ন’ পদটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। পুরাঘটিত বর্তমান কালের বাক্যে ‘ন’ পদটি দীর্ঘস্বর হয়। অর্থাৎ, ‘নঅ’ উচ্চারিত হয়। অপরদিকে ক্রিয়াপদ হিসেবে সাধারণ বর্তমান কালের ক্রিয়াপদই ব্যবহৃত হয়। পুরাঘটিত বর্তমান কালের ক্রিয়াপদ এখানে সরাসরি ব্যবহৃত হয় না।যেমন-
মুই ভাত নঅ খাং।[আমি ভাত খাই নি]
তারায় কধা নঅ কহন। [তারা কথা বলে নি]
বি:দ্র: উপরিস্থিত বাক্য দুটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাংলা ব্যাকরণে পুরাঘটিত বর্তমান কালের নেতিবাচক বাক্য তৈরি করতে হলে ‘না’ পদটির স্থলে ‘নি’ পদটি ব্যবহৃত হয় এবং ক্রিয়াপদ হিসেবে সাধারণ বর্তমান কালের ক্রিয়াপদটি ব্যবহৃত হয়। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার ক্ষেত্রেও ঐ একই নিয়ম প্রযোজ্য।
অস্তি-প্রশ্নবোধকবাক্য : (১ এই জাতীয় বাক্য গঠনের বেলায়ও অস্তিবাচক বাক্যের কর্তা ও কর্মের মাঝে ‘কি’ পদটি বসাতে হয়। অর্থাৎ, কর্তা+ কি + কর্ম + ক্রিয়া। যেমন-
মুই কি ভাত খায়্যং? তারায় কি কধা কুয়্যন?
(২ অস্তিবাচক বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে অতিরিক্ত ‘গে/দে’ প্রত্যয় যোগ করার পর প্রশ্নবোধক ‘নে’ পদটি বসাতে হয়।
অর্থাৎ, কর্তা + কর্ম + (ক্রিয়া+গে/দে ) + নে? যেমন-
মুই ভাত খায়্যঙ্গে নে? তারায় কধা কুয়্যন্দে নে?
নেতি-প্রশ্নবোধকবাক্য : (১ নেতিবাচক বাক্যের কর্তার পর ‘কি’ পদটি বসিয়ে। যেমন-
মুই কি ভাত নঅ খাং? তারায় কি কধা নঅ কহ্ন?
(২ নেতিবাচক বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক ‘নে’ পদ বসিয়ে। যেমন-
মুই ভাত ন খাঙ্গে নে? তারায় কধা ন কন্দে নে?